নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের দল নেতা ও শাকিলের খুনি চাপাতি তুনি র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ায় দেওভোগ এলাকাবাসী ও আদর্শ নাগরিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে র্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেছে। গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বাদ আসর দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকা থেকে আদর্শ নাগরিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসাইনের নেতৃত্বে এই আনন্দ মিছিলে এলাকার মুরব্বী কিশোর যুবকরা উপস্থিত ছিলেন।
শহরের দেওভোগ এলাকার কিশোর গ্যাংদের নেতা হিসেবে পরিচিত তুহিনের নির্মম পরিণতি ঘটেছে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনার মধ্য দিয়ে। অথচ এ তুহিন বাহিনীর হাতে খুন হন শাকিল নামের এক যুবক। এছাড়া এলাকা ছিল পুরোপুরি তার দখলে। পান থেকে চুন খসলেই তান্ডব চালাতো এ বাহিনীর সদস্যরা।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে তুহিন র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মৃত্যুর পর এলাকাবাসী যেমন উল্লাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন ।
স্থানীয়রা জানান, তুহিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। দেওভোগ ও বাবুরাইল সহ আশপাশ এলাকাতে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও শেল্টারদাতারা রয়ে যাচ্ছে অধরা। এ বাহিনী এলাকাতে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে।
দেওভোগ শান্তিনগর এলাকার কাওসার হোসেনের ছেলে তুহিন এক সময় হয়ে যান দেওভোগ এলাকার সন্ত্রাসী হাসান বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শহীদ নগরের র্যাব-১১ এর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ২০ মামলার আসামী ওই হাসান। হাসানের মৃত্যুর পর বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তুহিনের অধিনে। ধীরে ধীরে আমবাগান, বাংলাবাজার, পশ্চিম দেওভোগ মাদরাসা রোড, হাসেম বাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রনে নেন।